মাহমুদুল হাসান সুজন:
ভুয়া নবাব এর মাধ্যমে আল- মারজান বিল্ডার্স লিমিটেড এর প্রতারণা এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অবমাননা করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণ কাজ চলমান রাখার বিরুদ্ধে ১৭ই জুলাই সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আইনউদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ এস্টট এর অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী আবুল কালাম আনসারী (জামাল)।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম আনসারী জামাল বলেন,
নবাব খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ’ নামে একজন প্রতারক মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল আদালতে মোতাওয়াল্লী
সংক্রান্ত দুটি মামলায় স্টে ও স্টাটাস-কো আদেশ থাকাবস্থায় মাত্র ১৫ (পনের) দিনের জন্য আইনউদ্দিন হায়দার ও
ফয়জুন্নেসা ওয়াক্ফ এস্টেট (ই.সি নং-৪১১/সি)-এর মোতাওয়াল্লীর রায়প্রাপ্ত হয়ে (পরে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের
আদেশে স্থগিত হওয়া সত্ত্বেও ) এখনও তা প্রচার ও তাকে পুঁজি করে জনসাধারণের সাথে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড
চালাচ্ছে।
কথিত নবাব খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ আল-মারজান বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কথিত চেয়ারঅ্যান
আলহাজ্ব হাফেজ হোসাইন আহাম্মদ-কে সমন্বয়কারী নিয়োগ দিয়ে জনগণের কাছে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে ও সহজ শর্তে
অবৈধ ও প্রতারণার মাধ্যমে ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি ও লিজ প্রদানের জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছে এবং গ্রাহক আকৃষ্ট
করার জন্য আকর্ষণীয় শর্তযুক্ত প্রচারপত্র বিতরণ করছে।
তিনি আরো বলেন
কথিত নবাব খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহর বেশ-ভূষা, নানা উপাধি ও কথিত ডিগ্রিতে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার
উপাদান বিদ্যমান। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তারা নানা কর্মকাণ্ডে কখনও নিজেকে
আইনউদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ এস্টেট, আবার কখনও নবাব ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী দাবি করে চলেছে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে তাকে মোতাওয়াল্লী ঘোষণার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। ফলে উক্ত ওয়াকফ এস্টেট বা নবাব ওয়াক্ফ এস্টেটের নাম ব্যবহার করার কোনো এখতিয়ার তার নেই এবং জমি লিজ প্রদান করতে পারার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাদের প্রচারপত্র বিলি এবং এতে উল্লেখিত শর্তাদি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ, বে-আইনি এবং এর উদ্দেশ্য প্রতারণার
মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত। এতে সাধারণ মানুষ শুধু প্রতারিতই হবে, কোনো জমি পাবে না, প্রতিকারও পাবে না। এ
বিষয়টি সাধারণ লোকদের জানানোর জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন বলে জানান তিনি।