১১ জুন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ তম কারামুক্তি দিবস। সেনাসমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় (২০০৭ সালের ১৬ জুলাই) গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।
দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এর পরই চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডল রানা নেতৃত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এফ এম তছলিম রেজার সঞ্চালনায় হোটেল রয়েল প্যালেস অডিটোরিয়াম হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির শেখ আব্দুস সালাম সুজুন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ সোরাফ হোসেন, মোঃ আল মামুন, কমরেড নজরুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান জয়, মোঃ ইয়াছিন মিয়া, মোঃ রুহুল আমিন মিন্টু, মোঃ ইব্রাহিম খান, মোঃ আবু সাহিন, মোঃ নুরুল ইসলাম বাবু, রমিজ আহমেদ শিকদার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুর নবী, মোছাঃ রোমানা আক্তার সাজু, মোছাঃ সুলতানা হক, ডালিয়া আক্তারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।