মানব পাচার আইনের অপব্যবহার করে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দকে হয়রানি মূলক গ্রেফতার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (১০/০৪/২০২০) সকালে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, RAB সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানব পাচার আইনের অপব্যবহার করে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দকে হয়রানি মূলক গ্রেফতার বন্ধের দাবিতে মানব পাচার মামলায় ভুক্তভোগী ও বায়রার সম্মানিত সাধারণ সদস্যবৃন্দ দীর্ঘ দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে শান্তিপূর্ন ভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, সচিব ও বিএমইটি ডিজি মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র প্রেরণ করে হয়রানি বন্ধের জন্য বিভিন্ন সময়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫/১০/২০২১ইং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের সভাপতিত্বে, মাননীয় পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, সচিব, বিএমইটি, ডিজি, বায়রার সাবেক সভাপতি ও মহাসচিববৃন্দ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড গ্রহন করে কর্মী প্রেরনকারী বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহকে মানব পাচার আইনে হয়রানি করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ আসলে সেটি মানব পাচার কি না বিএমইটি যাচাই করবে। উপরোক্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য দেশের শীর্ষ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে।
এম টিপু সুলতান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বেদনা দায়ক বাস্তবতা হচ্ছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত চরমভাবে উপেক্ষা করে, অভিযোগ বিএমইটি হতে যাচাই না করে, RAB ধারাবাহিক ভাবে বিএমইটি’র স্মার্ট কার্ড গ্রহন করে কর্মী প্রেরনকারী বৈধ রিক্রুটিং সমূহে হয়রানি মূলক অভিযান চালিয়ে মালিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দকে মানব পাচার আইনে জামিন ও আপোষ অযোগ্য ধারায় অব্যাহত ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করছে।
তিনি আরো বলেন, ১কোটি ২৫ লাখের অধিক ট্যান্স যোদ্ধাবৃন্দকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করে দেশের স্বার্থে অসামান্য অবদান রাখা রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দকে বৈধ ভাবে স্মার্ট কার্ড গ্রহন করে কর্মী প্রেরন করা স্বত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদন্ত ও আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্বেই, মানব পাচারকারী জঘন্য অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করে সমাজ রাষ্ট্র ও বিশ্বের সামনে মিডিয়া মাধ্যমে অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দের সারা জীবনের সকল অর্জন ম্লান করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
গত ২১/১০/২০২১ই এর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে RAB সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানব পাচার আইনের অপব্যবহার করে হয়রানি মূলক গ্রেফতার অভিযান অবিলম্বে বন্ধ না করা হলে, বিশ্বের সকল দেশে কর্মী প্রেরণ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে বায়রার সম্মানিত সাধারন সদস্যবৃন্দ বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লিমা বেগম, সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরামেের আহব্য়ক মো. মোশারফ হোসেন, সচেতন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, রিক্রুটিং এজেন্সিজ এমপ্লায়ার্স এসোসিয়েশর অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. শহিদ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ বিএমইটি’র ডিজি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।