কেউ রিকশাচালকের ছেলে কেউবা ভ্যানচালকের, কেউ আবার দিনমজুরের সন্তান। কিন্তু তাতে কী? গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের সামনে। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ৬৭ জন।
মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেডে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনায় নির্বাচিত অনেকেই কোনো প্রকার দালালি বা সুপারিশ ছাড়া নির্বাচিত হতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রায় ২ হাজার ২শ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ৬৭ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে জেলা পুলিশ।
কোনো প্রকার দালালি বা আর্থিক লেনদেন ছাড়াই চাকরি পেয়ে আবেগ তাড়িত নির্বাচিত সদস্যরা। যাদের কাছে চাকরিটি ছিল সোনার হরিণ। নির্বাচিত হতে পেরে অশ্রুসিক্ত নয়নে পুলিশ সুপার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অনেকেই।
ভ্যানচালক জামাল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন বলেন, আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি ১২০ টাকার বিনিময় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদের এই চাকরিটা পাবো। গত বছরও চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তখন মৌখিক পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হতে পারিনি। কিন্তু আশা ছড়িনি। যখন আবেদন করেছিলাম তখন অনেকের কাছে অনেক কথাই শুনেছি। তদবির লাগে, টাকা লাগে। এসব ছাড়া চাকরি হয় না। আমার বাবা একজন ভ্যানচালক। আমি টাকা দেবো কোথা থেকে। কিন্তু মনের জোরে এবং চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ স্যারের আন্তরিকতায় মাত্র ১২০ টাকায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। এজন্য আমি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ স্যার ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।